মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি করে মানবসেবা করার ক্ষমতা দিয়েছেন, সে জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর গ্রামের বাগবাড়ী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী দেওয়ান পরিবারের অন্যতম আধ্যাত্মিক সাধক মোঃ আব্দুস ছাত্তার দেওয়ান চিশ্তীর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন লিটন দেওয়ান। জন্মের সময়েই তার মাঝে বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে। তার চালচলনে একটা অস্বাভাবিকতা সবসময় দেখা গেছে। বেশিরভাগ সময়েই তাকে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে ।
লিটন দেওয়ান প্রথমে তার বাবার সাধনার স্থানটিতে বসেই সাধনা শুরু করেন এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। প্রায় তিন বছর নিজ এলাকায় মানবসেবা দিয়ে সফলতা অর্জন করার পর তার মানব সেবার পরিধি আরো বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে চলে আসেন ঢাকায়। প্রথমে যাত্রাবাড়ি এলাকার শহিদ ফারুক সড়কে অফিস নিয়ে সেবা প্রদান শুরু করেন। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। মানুষের ব্যাপক চাহিদার কারণে তিনি রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নয়াপল্টনের পলওয়েল মার্কেটের চতুর্থ তলায় অফিস নিয়ে মানবসেবা শুরু করেন। তার পরামর্শ, নির্দেশনা ও তদবীরে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হন।
তাই আরো বর্ধিত পরিসরে সেবা দানের উদ্দেশ্যে তিনি কাকরাইলে ইস্টার্ন কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে অফিস স্থানান্তর করে আরো বর্ধিত পরিসরে মানবসেবা শুরু করেন। সবশেষে এখন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অফিস স্থাপন করে তার সেবার পরিধি আরো বিস্তৃত করেছেন।
অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবীদ, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সরকারী কর্মকর্তা, শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লিটন দেওয়ানের পরামর্শ, দিকনির্দেশনা ও তার কাছ থেকে রত্ন পাথর নিয়ে ব্যবহার করে সুফল লাভের পর তাকে সনদ দিয়েছেন। লিটন দেওয়ান চিশতী অর্জন করেছেন অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বর্ণপদক। মানবসেবা সম্পর্কে জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশ্তীর কথা, ‘শুধু টাকা-পয়সা আর ক্ষমতা থাকলেই সমাজ বা মানবসেবা করা যায় না। সেবার জন্য প্রয়োজন সেবকের মন এবং মহান আল্লাহপাকের রহমত। মানবসেবার মধ্যে যে সুখ ও আত্মতৃপ্তি আছে তা পৃথিবীর অন্য কোন কাজে নেই। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি করে মানবসেবা করার ক্ষমতা দিয়েছেন, সে জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ অবদান ও নিখুঁত ভবিষৎবাণীর স্বীকৃতিস্বরূপ লিটন দেওয়ান চিশ্তীকে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, বিচারপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আইন বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রীবর্গ বিভিন্ন সময়ে সনদ ও প্রশংসাপত্র প্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আমাদের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার মো. আব্দুল হামিদ এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। তাছাড়াও সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আছেন আমীর হোসেন আমু, আসাদুজ্জমান খান কামাল এম.পি, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কামাল আহম্মেদ মজুমদার এম.পি, অধ্যাপক রেজাউল করিম, আবুল হাসান চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, দিলিপ বড়ুয়া, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মওদুদ আহমেদ, ড. মির্জা আব্দুল জলিল, আনোয়ারুল কবির তালুকদার, শাহাজাহান সিরাজ, গৌতম চক্রবর্তী, শাহ আবুল হোসেন, মোতাহার হোসেন, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, লে. কর্নেল (অব.) শওকত আলী, বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রদূত লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ (বীর প্রতীক), সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার (বীর উত্তম), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভি সি প্রফেসর ডা. এমাজউদ্দিন আহমেদ, জজ জহিরুল ইসলাম, জজ নুরুল ইসলাম প্রমূখ।
এসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও অনেকের নিখুঁত ভবিষ্যৎবাণীর জন্য বিভিন্ন সময়ে সনদপত্র, প্রশংসাপত্র এবং স্বর্ণপদকও প্রদান করেন। লিটন দেওয়ান চিশতী প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান-এর নিকট থেকে স্বাধীনতা পদক, কিংবদন্তী অভিনেত্রী কবরী সারওয়ার এম.পি.-এর নিকট থেকে বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি কর্তৃক লাইফ টাইম এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক- এর নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী পদক গ্রহণ করেন। এছাড়াও ইরাকের রাষ্ট্রদূত আদনান হাতাব ও ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রদূত সাত্তা জারাব অভ্যর্থনার মাধ্যমে নিখুঁত ভবিষ্যৎ বাণীর জন্য পুরস্কার প্রদান করেন লিটন দেওয়ান চিশতীকে। ২০১০ সালের ৩ জুন কানাডার টরেন্টোতে অবস্থানকালে কানাডা বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল-এর চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার জেরজিনা বেনসিক-এর নিকট থেকে রত্ন পাথর বিশারদ হিসাবে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রেস মিডিয়া সনদপত্র প্রদান করেন লিটন দেওয়ান চিশ্তীকে।